প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
এই শিখন অভিজ্ঞতার শুরুতেই একটা গল্প পড়ে নেয়া যাক। গল্প বলা বোধ হয় ঠিক হলো না। কারণ, নিচের ঘটনাটা আগাগোড়া সত্য কাহিনি, ইতিহাসের পাতা থেকে নেওয়া।
অভিশপ্ত চাঁদ ১৫০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক সন্ধ্যা, জামাইকার আদিবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে আবিষ্কার করল, পূর্ণিমার ধবধবে চাঁদকে দিলে মানে একরাশ অন্ধকার, তাহলে কি সত্যিই ঈশ্বরের কোষ নেমে আসছে তাদের ওপর ঘটনার শুরু বেশ কয়েক মাস আগে। ঘটনার চরিত্রদের মধ্যে একজনের নাম তোমরা অনেকেই শুনে থাকবে, তার নাম হলো ক্রিস্টোফার কলম্বাস। হ্যাঁ, স্পেনের বিখ্যাত অভিযাত্রিক কলম্বাস, যিনি প্রথম শ্বেতাঙ্গ হিসেবে আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছিলেন বলে আমরা জানি। কলম্বাসের জাহাজের বহর জ্যামাইকান সৈকতে নোঙর করে ১৫০৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে। জ্যামাইকার আদিবাসীরা নিতান্তই নিরাহ ও শান্তিপ্রিয়, রীতিমতো উষ্ণ অভ্যর্থনাই করেছিল তারা এই বিদেশি নাবিকদের। সামান্য কিছু জিনিসের বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে খাবার ও অন্যান্য রসদ জোগাড় করতে কলম্বাসের তাই খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। সমস্যা শুরু হলো মাস ছয়েক পর। একে তো মাসের পর মাস নিয়মিত খাবার পাঠাতে পাঠাতে স্বাভাবিকভাবেই আদিবাসীরা কিছুটা বিরক্ত হয়ে উঠছিল, তার সঙ্গে যোগ হলো কলম্বাসের লোকজনের ঔদ্ধত্য। রীতিমতো অরাজকতা শুরু করে দিল তারা এই এলাকায়। ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে আদিবাসীরা সাফ জানিয়ে দিল, এদের কাউতে আর কোনো সাহায্য তারা করতে পারবে না। বিদেশিরা যাতে নিজেদেরটা নিজেরা ব্যবস্থা করে নেয়। কলম্বাস পড়লেন মহা গ্যাঁড়াকলে। কারণ, স্পেন থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ আসার আগে তাদের এই এলাকা ছেড়ে যাবার কোনো উপায় নেই। তার বহরে সাকুল্যে জাহাজ আছে মোটে দুটি, বাকি জাহাজ আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। তার চেয়েও বড় বিপদ হলো, জাহাজে নেই কোনোরকম রসদ। শেষ ভরসা ছিল এই আদিবাসীরা; তারাও এখন বেঁকে বসেছে। মরিয়া হয়ে ধূর্ত কলম্বাস শেষমেশ অদ্ভূত এক ফন্দি আঁটলেন। স্থানীয় আদিবাসীদের যিনি নেতা, তাকে ডেকে পাঠালেন কলম্বাস। তিনি আসার পর কলম্বাস গম্ভীর মুখে জানালেন যে, তাঁর লোকদের রসদ দিয়ে সাহায্য না করায় সাদা মানুষদের ঈশ্বর আদিবাসীদের ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এখন সেই ক্রোধের পরিণাম ভোগ করতে হবে এখানকার মানুষদের। আজ থেকে তিন দিন পর পূর্ণিমার যে চাঁদ আকাশে উঠবে, সেটিকে গিলে নেবে অন্ধকার শক্তি, আর আদিবাসীদের ওপর নেমে আসবে মহাদুর্যোগ! স্বভাবতই তার এসব ভয় দেখানোকে স্থানীয় সেই নেতা খুব একটা আমলে নিলেন না। তিন দিন পার হলো। সেদিন সন্ধ্যায় জ্যামাইকার আদিবাসীরা আতঙ্ক ভরা বিস্ময়ে আবিষ্কার করল, সেদিনের চাঁদ আর দশটা পূর্ণিমার চাঁদের মতো নয়। সত্যি সত্যি পূর্ণিমার চাঁদকে যেন গিলে নিচ্ছে কোনো এক অশুভ শক্তি, একরাশ অন্ধকার ধীরে ধীরে ঢেকে দিচ্ছে চাঁদের আলোকে। সহজ সরল আদিবাসীরা সবাই ভয়ে, আতয়ে ছুটতে ছুটতে হাজির হলো কলম্বাসের কাছে। করজোড়ে ক্ষমা চাইল, হাতে পায়ে ধরল যাতে কলম্বাস তার ঈশ্বরকে বোঝান, এই অভিশাপ তুলে নেন! বিনিময়ে এই পুরো দলকে যত দিন দরকার সমস্ত রসদ সরবরাহ করতে তাদের কোনো আপত্তি নেই! কলম্বাস এটার অপেক্ষাই করছিলেন। ঈশ্বরের সঙ্গে একান্তে কথা বলার জন্য নিজের কেবিনের দরজা বন্ধ করে বসলেন। ঘন্টার পর ঘণ্টা যায়, এদিকে চাঁদকে তখন প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে কালো অন্ধকার, সবার আতঙ্ক তখন তুঙ্গে। অনেকক্ষণ পর কেবিনের দরজা খুলল, কলম্বাস বের হলেন সুখবর নিয়ে। ঈশ্বরের রাগ কমেছে, তিনি রাজি হয়েছেন তার অভিশাপ তুলে নিতে। সত্যিই তাই- কারণ, কিছুক্ষণের মধ্যেই চাঁদের ওপর চেপে বসা অন্ধকার কাটতে শুরু করল। আস্তে আস্তে আকাশে ফিরে এল পুরোনো সেই ধবধবে চাঁদ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল এলাকার লোকজন। ওই ঘটনার পর আরো কয়েক মাস কলম্বাসকে দলবল নিয়ে এই এলাকায় থাকতে হয়েছিল, তবে তাঁদের রসদের সংকট আর কখনো হয়নি! |
|
তৃতীয় সেশন
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য রাতের দৈর্ঘ্যের চেয়ে বেশি নাকি কম?
গরমকালে দিনের দৈর্ঘ্যাঁ রাতের দৈর্ঘ্যের চেয়ে বেশি নাকি কম?
দেশের নাম | বছরের নির্দিষ্ট সময়ে তাপমাত্রার অনুভূতি (ঠান্ডা গরম / ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি) | |||
২১ জুন | ২৩ সেপ্টেম্বর | ২২ ডিসেম্বর | ২১ মার্চ | |
বাংলাদেশ | ||||
অস্ট্রেলিয়া | ||||
আমেরিকা | ||||
ব্রাজিল | ||||
ইংল্যান্ড | ||||
চতুর্থ ও পঞ্চম সেশন
পূর্ণিমা
আমবস্যা |
এখন তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে চন্দ্রকলা অংশটুকু পড়ে নিয়ে তোমাদের ধারণার সঙ্গে মিলিয়ে দেখো।
বাড়ির কাজ
|
তোমার চিন্তা নিচে লিখে রাখো-
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Read more